ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রায় ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনার ভাঙ্গন রোধে বেড়িঁবাধের কাজ দৃশ্যমানভাবে এগিয়ে চলছে 

প্রায় ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনার ভাঙ্গন রোধে বেড়িঁবাধের কাজ দৃশ্যমানভাবে এগিয়ে চলছে 

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধে প্রায় ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাম তীর সংরক্ষণ বেড়িবাঁধের কাজ দৃশ্যমানভাবে এগিয়ে চলছে। এ বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন হলে চরাঞ্চলবাসীর দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধে ৩.৫ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে।

এরআগে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন সাবেক উপমন্ত্রী এ কাজ উদ্বোধন করেন। স্থানীয়রা বলছেন, কয়েক বছর ধরেই বেড়িবাঁধ না থাকায় ওই উপজেলার চরাঞ্চলের খাষপুকুরিয়া, বাঘুটিয়া, ভূতের মোড় এলাকায় ভাঙনের শিকার হচ্ছেন হাজারো মানুষ। গত ২০ বছরে এসব এলাকার ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার যমুনার ভাঙনে বিলীন হয়েছে। এতে ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শত শত বসতভিটা নদী গর্ভে বিলিীন হয়েছে।এসব এলাকা নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে সরকার ৪৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে এ বেড়িবাঁধ। এ বেড়িবাঁধ নির্মাণ শেষ হলে শিক্ষা ব্যবস্থাসহ আর্থ সামাজিক উন্নয়েনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। সিরাজগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলছেন, নির্বাচিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। এ বাঁধ নির্মাণে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ অব্যাহত রয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে।

এ বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও একাধিক উর্ধতন কর্মকর্তা এ প্রকল্প যথানিয়মে পরিদর্শন করছেন এবং পরিদর্শনে প্রকল্পের কাজে কোন অনিয়ম দুুর্ণীতি বরদাস্ত করা হবে না এবং প্রকল্পের কাজ দ্রæত শেষ করার নির্দেশ দেন। সম্প্রতি যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে চরাঞ্চলের বহু পরিবার নিঃস্ব হয়েছে এবং তারা এখনও মানবেতর জীবনযাপন করছে। অবশ্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থদের দফায় দফায় আর্থিক সহযোগীতা করেছে। এদিকে এ ভাঙ্গনে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বিলুপ্ত হওয়ায় নতুন করে খাসকাউলিয়া ইউনিয়নে চৌহালী উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সেখানে সরকারি নানা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ভাঙন কবলিত এ উপজেলার অবশিষ্ট অংশ রক্ষায় যমুনা নদীর বাম তীরে বেড়িবাঁধ প্রকল্পের কাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নির্ধারিত সময়ে এ কাজ শেষ হবে বলে। তবে কোন অনিয়ম বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন তিনি।

ভাঙ্গন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত